রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয়ে জনগণের সমর্থন রয়েছে কিনা তা যাচাইয়ের জন্য যে ভোট অনুষ্ঠিত হয় তাকে গণভোট বলে। সংবিধান সংশোধন, আইন তৈরি, শাসনব্যবস্থা ইত্যাাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য গণভোটের আয়োজন করা হয়।
১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত তৃতীয় গণভোটের আগে জাতীয় সংসদে গণভোট আইন পাস হয় যা ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাতিল করা হয়।সম্প্রতি হাইকোর্ট উক্ত সংশোধনী বাতিল করে গণভোট পুর্নবহাল করে রায় দেয়।
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মোট তিনবার গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। যার মধ্যে দুটি ছিল প্রশাসনিক গণভোট এবং একটি ছিল সাংবিধানিক গণভোট।
প্রথম গণভোট :
১৯৭৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান তার নীতি ও কর্মসূচির প্রতি আস্থা আছে কি না সে বিষয়ে গণভোট আয়োজন করেন। ৩০ মে ১৯৭৭ সালে সর্বপ্রথম অনুষ্ঠিত গণভোটে ৮৮.১% মানুষ ভোট দেয়। গণভোটে ৯৮.৯% হ্যাঁ ভোট এবং ১.১% না ভোট পড়ে।
দ্বিতীয় গণভোট :
১৯৮৫ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নীতি ও কর্মসূচি এবং স্থগিত সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার উপর জনগণের আস্থা আছে কি না তা যাচাইয়ের জন্য গণভোটের আয়োজন করা হয়। এই গণভোটে ৭২.২% ভোট পড়ে। এর মধ্যে হ্যাঁ ভোট ছিল ৯৪.৫% আর না ভোট ছিল ৫.৫%।
তৃতীয় গণভোট :
১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদে গৃহীত সংসদীয় পদ্ধতির সরকার প্রতিষ্ঠার পর সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীতে রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে থাকা বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ সম্মতি দিবেন কিনা এই প্রশ্নে দেশব্যাপী গণভোট আয়োজন হয়।এই গণভোটে ৩৫.২% ভোট পড়ে।ভোটে সংসদীয় গনতন্ত্রের পক্ষে ভোট ছিল ৮৪.৩৮%, বিপক্ষে ছিল ১৫.৬২%।
আগামী ১২ই ফেব্রুয়ারি সারাদেশে চতুর্থ বারের মতো গণভোট অনুষ্ঠিত হবে যা মূলত সাংবিধানিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অনুষ্ঠিত হবে।








